বিচারের নামে প্রহসন করেছে সৌদি!

SHARE

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এ হত্যাকাণ্ডে বিশ্বব্যাপী তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এদিকে, সম্প্রতি জামাল খাশোগি হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে সৌদি সরকার। এই বিচার আদতে প্রহসন ছিল মাত্র। প্রভাবশালী সৌদি রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে এবার এমন অভিযোগ উঠছে।

কয়েকটি তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ‘কান্ডারি’ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে গোটা বিচার প্রক্রিয়ায় কোথাও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

গত সোমবার ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কলামিস্ট জামাল খাশোগি হত্যা মামলায় রায় দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত। এই খুনের ঘটনায় দোষী ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে আরও ৩ অভিযুক্তের ২৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক জামাল খাশোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন। দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সৌদি রাজ পরিবারের পাশাপাশি সে দেশের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগির খুনের পরেই সরব হয় তুরস্কসহ একাধিক দেশ। প্রাথমিকভাবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াদ। পরে অবশ্য বলা হয়, গুপ্ত ঘাতকের হাতে খুন হন খাশোগি।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বেশ পড়ে তদন্তের নির্দেশ দেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান। প্রায় ২১ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এই মামলায় ‘হাই-প্রোফাইল’ অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম সৌদি রাজ পরিবারের উপদেষ্টা সৌদ আল-খাতানি ও সৌদি আরবের ডেপুটি ইন্টেলিজেন্স চিফ আহমেদ আল-আসিরি। মামলায় আল-আসিরির নাম জড়ালেও যুবরাজ সালমনের ঘনিষ্ঠ আল-খাতানির নাম ওঠেনি। তবে পদ থেকে সরলেও বেকসুর খালাস পেয়েছেন আল-আসিরি।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মার্কিন সংস্থা সিআইএ ও তুরস্কের তদন্তকারীদের দাবি , যুবরাজ সালমনের নির্দেশেই হত্যা করা হয় খাশোগিকে। এই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের নাম চাপা দিতেই তড়িঘড়ি ৫ ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে।

সৌদি রাজ পরিবারের বিরোধীদের দাবি, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বাঁচাতে বিচারের নামে প্রহসন করেছেন বাদশাহ সালমন।