প্রকৃত গ্রাহক খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় বিদ্যুৎ বকেয়া বিল আদায় করা যাচ্ছে না। এভাবে এক বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা অনাদায়ী রয়েছে। আর এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়ী করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি বৈঠকে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ পরবর্তী বৈঠকে নিখোঁজ গ্রাহকের সংখ্যা ও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সালমান ফজলুর রহমান, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও ওয়াসিকা আয়েশা খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের ২০১২-১৩ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট নিয়ে আলোচনাকালে নিখোঁজ গ্রাহকদের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায় ওই অর্থ বছরে গ্রাহক খুঁজে না পাওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের ৪ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৫৩ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি বিষয়টিকে গুরুতর অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কমিটির পক্ষ থেকে অনধিক ৬০ দিনের মধ্যে অনাদায়ী টাকা আদায় ও জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, একই অর্থ বছরে দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ না করা সত্ত্বেও ৪২০ জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে অনিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় ১২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৮৪ টাকা অনাদায়ী রযেছে। আর ঠিকাদারকে পরিশোধিত বিল হতে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে ভ্যাট কর্তন করায় সরকারের ২৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ৪১ হাজার ২৫২ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া যোগসাজশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় সরকারের এক কোটি ১৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৮৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।