বিক্ষোভে ফুঁসছে ভারত

SHARE

ভারতে একের পর এক গণধর্ষণের পাশাপাশি হত্যার ঘটনা ঘটেই চলছে। গতকাল শুক্রবার মারা গেছেন গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী। এই তরুণীকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে হায়দরাবাদে আরেক নারী ডাক্তারকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন করা হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে ভারতের জনতা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে দিল্লিসহ কয়েকটি প্রদেশ।

২০১২-র দিল্লি নির্ভয়া গণধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় বেড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিল হাজার হাজার মানুষ। সেদিন দাবি ছিল, ‘ধর্ষকদের শাস্তি চাই।’ ২০১৯-এ ফের রাজপথে মানুষের বিক্ষোভ। এবারও দাবি একই, ‘ধর্ষকদের শাস্তি চাই।’

তেলেঙ্গানা-উন্নাওয়ের পরপর গণধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবার দিল্লির রাজপথে স্বতঃফুর্ত প্রতিবাদে সামিল হলেন নাগরিকরা। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ নাগরিকদের ক্ষোভ, ‘নারী নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিজেপি।’

জানা গেছে, আজ শনিবার ইন্ডিয়া গেটের কাছে জনতার মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তবে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরই বিক্ষোভকারীদের হটাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।

ধর্ষণের মামলার শুনানির জন্য আদালতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন উন্নাওয়ের ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, পরিচিত শিবম, শুভম ত্রিবেদী-সহ ৫ জন তাঁকে বাধা দেয়। হুমকি পাত্তা না দেওয়ায় মারধর করা হয় নির্যাতিতাকে।

ছুরিকাঘাতের পাশাপাশি গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাকে। কোনোমতে পালিয়ে পুলিশকে ফোন করেন ওই তরুণী। এরপর এয়ার অ্য়াম্বুল্যান্সে করে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।