কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া উচিত : টিআইবি

SHARE

প্যারিস চুক্তির আওতায় জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য দূষণকারী কর্তৃক ঋণের পরিবর্তে প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ অর্থ সরকারি অনুদান হিসেবে প্রদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবির পক্ষ থেকে গ্রিন ক্লাইমেট ফাণ্ড (জিসিএফ) ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক তহবিল হতে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সমন্বিত ভাবে দাবি উপস্থাপনে আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসকল দাবি উত্থাপন করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ক্লাইমেট ফিন্যান্স গর্ভনেন্স) এম. জাকির হোসেন খান ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ক্লাইমেট ফিন্যান্স পলিসি ইন্টেগ্রিটি) মো. মাহফুজুল হক।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নে অনিশ্চয়তা, সবুজ জলবায়ু তহবিলের চ্যালেঞ্জসমূহ, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়-ক্ষতি এবং তা মোকাবেলায় পদক্ষেপসহ আসন্ন কপ-২৫ সম্মেলনে প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়।

এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ‘ক্ষয়-ক্ষতি’ মোকাবেলায় ‘ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম’-এর চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে মেকানিজমটি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং শুদ্ধাচার নিশ্চিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল তথা সরকারের নিকট আসন্ন কপ-২৫ এ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তাব করা হয়।

ড. ইফতেখার আরো বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্ভরতা থেকে সরে এসে ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে হাঁটা শুরু করতে হবে। আর এখনই রামপাল, তালতলী ও কলাপাড়ার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আসন্ন কপ-২৫ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ তাদের অঙ্গীকারকৃত জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমের আওতায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্ষতিপূরণ প্রদানে প্রযোজ্য নীতিমালা ও কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচিত হবে।

তিনি আরো বলেন, এই অর্থায়ন হতে হবে উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ ও ‘নতুন’ এবং এটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে আসতে হবে।