ধর্মঘট ১০ দিন চললেও চালের বাজারে প্রভাব পড়বে না

SHARE

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কোনো মহল বা সিন্ডিকেট যদি কারসাজি না করে তবে দালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের হাতে যে পরিমাণ চাল আছে তাতে ৮-১০ দিনের ধর্মঘটেও চালের দামে প্রভাব পড়বে না।

আজ বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিবহন ধর্মঘটকে ইস্যু করে কেউ যদি বাজারে চালের দাম অনৈতিকভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করে তবে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো কারসাজি সহ্য করা হবে না।

তিনি বলেন, কারসাজি করে চালের বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। দরকার হলে আমরা নিজেরা মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করবো।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এর বেশি করলে দেশেকে আপনারা শোষণ করতে বসেছেন, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে মনিটরিং করতে হবে।

সাধন চন্দ্র বলেন, চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ করতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার টন মজুত আছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। চাল রয়েছে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন।

মন্ত্রী আরো বলেন, গেল বছর দেশে মোট ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। যেখানে আমাদের বাৎসরিক চাহিদা হচ্ছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন। সে হিসাবে আমাদের এখন পর্যাপ্ত চালের মজুদ আছে।

বৈঠকে চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষে মিল মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ (মিনিটেক) উপস্থিত ছিলেন।