মানুষ চেপে বসে পিঠে, বিনা বিশ্রামে হাতির মৃত্যু

SHARE

সারা পৃথিবীতেই মানুষের কল্যাণে পশুকে ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। আবার সারা দুনিয়ায় প্রাণীদের প্রতি নৃশংসতার ঘটনাও ঘটছে। কোথাও ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে কুকুরকে, কোথাও গর্ভবতী বিড়ালকে দেওয়া হচ্ছে ফাঁসি!

এবার শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনা ঘটেছে, তাতেও নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বস্তরে। দিনের পর দিন একটি হাতিকে শুধু ব্যবহার করা হয়েছে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার কাজে। তার পিঠে যখন-তখন পর্যটকরা চেপে বসত। সামান্য বিশ্রামটুকুও সে পেত না। অবশেষে ক্লান্তিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে হাতিটি।

জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সিগিরিয়াতে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানোটাই আকর্ষণ। অনেকদিন থেকেই ওই হাতিটিকে সেই কাজে ব্যবহার করা হতো। দিনের বেশিরভাগ সময় পিঠে পর্যটক নিয়ে চলতে হতো তাকে। সামান্য বিশ্রামটুকুও মিলত না। ঘটনার দিনও সে রকমই বিশ্রাম না নিয়ে এক নাগাড়ে সে পিঠে মানুষ নিয়ে ঘুরছিল। এরপরই ধীরেধীরে বসে পড়ে সে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশু চিকিত্সকরা।

ঘটনার পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পশুপ্রেমীরা। এমনিতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না সিগিরিয়ায় হাতিরা। নির্দয় আচরণ করা হয় তাদের সঙ্গে। তারই ফলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ অনেকের।

দিন কয়েক আগেই শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে কেগাল্লেতে টিকিরি নামে একটি হাতির মৃত্যু হয়। ঠিক মতো খেতে না পেয়েই টিকিরি অস্বাভাবিক রোগা হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন হস্তি বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত জয়বর্ধনে।

শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে আয়োজিত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ওই চেহারাতেই নামানো হয় টিকিরিকে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের মুখে পড়ে টিকিরিকে তুলে নেয় কর্তৃপক্ষ। কেন দুর্বল টিকিরিকে দিয়ে প্যারেড করানো হয়, তার তদন্তের নির্দেশ দেন শ্রীলঙ্কার বন্যপ্রাণী দপ্তরের মন্ত্রী জন অমরাতুঙ্গা।

ক্যান্ডির এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০টি হাতি অংশ নেয়। সে দেশে ধনী ব্যক্তিরাও অনেকে বাড়িতে হাতি পালেন। কিন্তু সেইসব হাতিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।