রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে এই আদেশ দেয় আদালত।
একই দিন অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে প্রথম আলোর পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের স্কুল শাখার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের বাবা। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) মামলাটি দায়ের করেন নিহত আবরারের বাবা মজিবুর রহমান।
এর আগে, গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত। নিজ স্কুলে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন তিনি।
পরে সেখানেই বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হলে অনুষ্ঠানস্থলের জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। দুইজন এফসিপিএস ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। পরবর্তীতে আয়োজকরা তাকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
অপমৃত্যু বলা হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন শনিবার ভোরে অ্যাম্বুলেসে করে ঢাকা থেকে নাইমুলের লাশ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানকার বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।