প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু যুক্তরাষ্ট্রের

SHARE

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার জন্য এক বছর ব্যাপী সেই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো আনুষ্ঠানিক নথি অনুযায়ী। ২০১৫ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সম্মেলনে এই চুক্তি হয়েছিল। বারাক ওবামা তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

সারা বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা আরো তিন ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড করে বাড়তে চলেছে। ক্রমে ভয়ঙ্কর জলবায়ু পরিস্থিতি লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঠেলে দেবে দারিদ্রের দিকে। এই পরিস্থিতিতে প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি থেকে এক মাত্র সরে গেল যে দেশটি বিশ্বে গ্রিনহাউস নির্গত করে যে সব দেশ, তার মধ্যে অন্যতম। সেই সঙ্গে তেল ও গ্যাস উৎপাদনেও প্রথম সারিতে থাকা দেশটি আর চুক্তির শরিক থাকছে না।

আমেরিকায় জলবায়ু নিয়ে আন্দোলনকারী এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাল গোর তার দেশের অবস্থান নিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘জলবায়ু সঙ্কট মেটাতে কোনো ব্যক্তি বা দল আমাদের পথ আটকাতে পারবে না। যারা সেটা করবে, তাদের পৃথিবী মনে রাখবে আত্মতুষ্টি, কুকর্মে সাহায্য আর মিথ্যাচারের জন্য।’ ট্রাম্পের এই নীতিকে ‘বেপরোয়া’ আখ্যা দিয়ে গোর জানাচ্ছেন, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সক্রিয় আন্দোলনের অন্যতম মুখ সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গকে গত কালই প্রশ্ন করা হয়েছিল, মার্কিন সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা? জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব মানতেই যিনি নারাজ, সেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে সময় নষ্ট সে করবে না, সাফ জানিয়ে দিয়েছে গ্রেটা।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পের পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করে দেওয়ার মতো বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত।’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়কার বিদেশসচিব জন কেরি এবং প্রতিরক্ষাসচিব চাক হেগেল একটি মার্কিন দৈনিকে লিখেছেন, ‌’আজ আমেরিকার একটা অন্ধকার দিন।’ তাদের বক্তব্য, আমেরিকার প্রতিটি অংশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে। গত পাঁচ বছর ছিল উষ্ণতম। দূষণের হার তীব্র মাত্রায় কমানো সম্ভব না হলে এই শতকের শেষে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিকের জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। তাদের মতে, প্যারিস চুক্তি ছিল একটা শুরু, ইতি টানার বিষয় ছিল না ওটা