সীমান্তে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে নারী-শিশু পাচার কমছে না। বাংলাদেশের ‘রাইটস যশোর’ নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার হিসাব মতে, ২০১৪ সালে যশোর ও আশপাশের সীমান্ত এলাকা থেকে কমপক্ষে ৪৫৭ জন নারী ও শিশু পাচার হয়েছে, যাদের পরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এদের বেশির ভাগই প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচার হয়েছিল।
রাইটস যশোরের প্রধান বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান, ভারতে পাচার হওয়া নারী-শিশুর প্রকৃত সংখ্যা হয়তো এর চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশের অন্য এলাকার সীমান্ত, নৌপথ বা আকাশপথে যে পাচারের ঘটনা ঘটে, সেগুলো তারা অন্তর্ভুক্ত করেননি।
মল্লিক বলেন, ভারতের এমন অনেক এলাকা থেকে তারা পাচারের শিকার বাংলাদেশীর তথ্য পাচ্ছেন, যাদের সম্পর্কে আগে জানা যায়নি। তবে তার মতে, পাচারের চিত্র অনেকটাই আগের মতো রয়েছে, তবে উদ্ধারের সংখ্যা বাড়ছে।
নারী ও শিশুদের পাশাপাশি পুরুষদেরও কাজের লোভ দেখিয়ে অন্য দেশে নিয়ে আটকে নির্যাতন করার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান সালমা আলী বলেন, পাচার রোধে আইনের প্রয়োগেরও ঘাটতি রয়েছে।
বাংলাদেশের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকার আইনের প্রয়োগসহ বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে অনেক পদক্ষেপই নিয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র: বিবিসি।