যেভাবে জঙ্গিনেতা হয়ে উঠলেন পিএইচডি-ধারী বাগদাদি

SHARE

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এর আগেও বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। দু’বছর আগেও তার মৃত্যুর খবর প্রচারিত হয়েছিল। এই জঙ্গিনেতার মৃত্যুর পর আইএসের অস্তিত্ব আদৌ থাকবে কিনা, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তরুণ বয়সে বাগদাদি একজন তুখোড় ফুটবলার ছিলেন। ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন প্রখর মেধাবী। তবে তার জঙ্গি সংগঠনের নেতা হিসেবে আবির্ভাবের ঘটনা উপাখ্যানের মতো।

আইএস-র শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদির জন্ম ১৯৭১ সালে, ইরাকের সামারায়। তাঁর আসল নাম নাম ইব্রাহিম আওয়াদ আল-বদরি। ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর কোরানিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন বাগদাদি ।

বাগদাদি ২০০৪ সালে ক্যাম্প বুকাতে বন্দি হন । সেখানে প্রাক্তন ইরাকি গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। ২০০৩ সালে ইরাকে সামরিক অভিযান শুরুর সময় বাগদাদের একটি মসজিদের ইমাম ছিলে এই বাগদাদি।

জানা গেছে, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের সময়েই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন বাগদাদি। তবে, কেউ কেউ মনে করেন, দক্ষিণ ইরাকে একটি মার্কিন সামরিক ক্যাম্পে চার বছর বন্দি থাকার সময়ই বাগদাদি জঙ্গিবাদের শিক্ষা নেন।

বাগদাদির তিন স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। যদিও এ বিষয় মতভেদ রয়েছে।

বাগদাদির মাথার দাম ক্রমেই বাড়ছিল। প্রায় ১৭৭ কোটি টাকায় এসে দাঁড়ায় তার মাথার দাম। শোনা যায়, খুব ভাল ফুটবলারও ছিলেন বাগদাদি। কলেজে তাকে অনেকে ‘ম্যারাডোনা’ বলেও ডাকত।

২০১৪ সালে ইরাকের মসুলে আল নুরি মসজিদের সামনে এক ভিডিওতে বাগদাদিকে প্রথম দেখা যায়। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। যদিও এতদিন সব অভিযানই ব্যর্থ হয়েছে। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। ২০১৭ সালে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়িয়ে আড়াই কোটি ডলার করা হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, কুকুরের মতো মৃত্যু হয়েছে বাগদাদির।

একাধিক সূত্রে এটাও দাবি করা হয়েছে, মার্কিন সেনা অভিযানে ধরা পড়ে যাবে বুঝতে পেরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান বাগদাদি।