নুসরাতের কবরে ভালোবাসার সাদা গোলাপ

SHARE

নুসরাত জাহান রাফির কবরের পাশে অত্যন্ত যত্ন করে সাদা গোলাপের গাছটি লাগিয়েছিলেন বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। মাঝেমধ্যে তাতে পানিও দিতেন, পরিচর্যা করতেন। আবার কখনো কখনো ছোট ভাই রায়হানও যত্ন করেছে গাছটির। গত বুধবার গাছটিতে একটি ফুল ফুটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবাদী এই মাদরাসাছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিনেও সাদা গোলাপটি শোভা দিয়েছে তার কবরে।

ফেনীর সোনাগাজী পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চর চান্দিয়া গ্রামে নুসরাতের বাড়ি। বাড়ির কাছে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত নুসরাত। চারপাশে গাছপালা ঘেরা পরিবেশ পাখির কলকাকলিতে মুখর।

বোনের মৃত্যুর কিছুদিন পর সাদা গোলাপের গাছটি লাগান নোমান। গতকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর পরিবারের সদস্যরাসহ আশপাশের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের কেউ কেউ কবর জিয়ারত করতে আসে।

নোমান বলেন, বুধবার সাদা গোলাপটি ফুটেছে। গতকালও ফুলটি দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার বোন ফুল খুবই ভালোবাসত। ঘরের সব কিছু সব সময় গুছিয়ে রাখত। নিয়মিত কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করত।

তার মাঝে কখনো খারাপ কিছু দেখিনি। বাইরের কেউ তাকে নেকাব ছাড়া কখনো দেখেনি। আমাদের তিন ভাইয়ের অতি আদরের ছিল বোনটি।’

নোমান আরো বলেন, ‘ফুলের মতোই নিষ্পাপ ছিল আমার বোন। রায়ের মধ্য দিয়ে বোনের আত্মা শান্তি পাবে।’