র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত

SHARE

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নাজির আহমেদ সুমন (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
র্যাবের দাবি, নিহত সুমন ছিনতাইকারী দলের প্রধান এবং তিনি চিকিৎসক শাহ আলম হত্যায় জড়িত। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুনের ভাষ্যমতে, সীতাকুণ্ড থানার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র্যাব- ৭ এর টহলদলের সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় হয়। এতে চাঞ্চল্যকর ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিনতাইকারী দলের প্রধান নাজির আহমেদ নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে চিকিৎসক শাহ আলমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে মৃতদেহটি চিকিৎসক মো. শাহ আলমের (৫৫) বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
র্যাব জানায়, চিকিৎসক শাহ আলম কুমিরায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত ছিলেন। সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে তিনি দেশে এসে কুমিরায় হাসপাতাল তৈরি করে রোগীদের সেবা দিতেন।
শাহ আলমের মৃতদেহ উদ্ধারের চার দিন পর ফারুক নামে এক লেগুনা চালককে গ্রেপ্তারের পর এ হত্যার রহস্য প্রকাশ পায়।
ফারুকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এএসপি কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ জানান, চিকিৎসক শাহ আলম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ চেম্বার থেকে বের হয়ে নগরীর চান্দগাঁওয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি ছোট কুমিরা এলাকায় বিন মনসুর পরিবহন নামে একটি লেগুনায় ওঠেন। গাড়িটি কে-বাই এলাকায় গেলে আরও দুইজন ওঠেন লেগুনাটিতে।
রয়েল গেইট এলাকায় আসার পর লেগুনায় থাকা অপর চারজন চিকিৎসক শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তারা শাহ আলমকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে গাড়ি থেকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। শুক্রবার সকালে কুমিরার ঘাটঘর এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে শাহ আলমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।