আইনজীবী সহকারী মোবারক হত্যায় ১২ জনের ফাঁসি

SHARE

ঢাকার জজ আদালতের আইনজীবী সহকারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে হত্যার দায়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার গোথালিয়া গ্রামের ১২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও অপর একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভুলন ভূঁইয়া ওরফে ভুলু, রুহুল আমিন, শিপন মিয়া, সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, বিধান সন্যাসী ও নিলুফা আক্তার। ফাঁসির দণ্ডের পাশাপাশি ট্রাইব্যুনাল প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। এরা সবাই কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার গোথালিয়া গ্রামের ভূইয়া বাড়ির বাসিন্দা।

অপর দুই আসামি তাসলিমা আক্তার (পলাতক), শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুলকে (পলাতক) এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। জয়নাল আবেদীন নামে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিহত মোবারক একই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে। তার পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্দী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেন। তার পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করে। এতে মোবারক মারা যান।

পরদিন মোবারকের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ১৬ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মকবুল হোসেন মোল্লা তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

উল্লেখ্য, মোবারক দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকার জজ আদালতে আইনজীবীর সহকারী (অ্যাডভোকেটস ক্লার্ক) হিসেবে কাজ করেছেন।