পাগলা মিজান কারাগারে

SHARE

ক্যাসিনো কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানকে মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ বিকেলে সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন। তিনি মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। অন্যদিকে আইনজীবীরা মিজানের জামিনের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন উভয় পক্ষের আবেদন শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় পাগলা মিজানকে সাত দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়। তার আগের দিন ভোরবেলা শ্রীমঙ্গলের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাঁকে আটক করা হয়।

মিজানকে ঢাকায় আনার পর ওইদিনই বিকেলে তাঁর কার্যালয় ও বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। তাঁর বাসা থেকে এক কোটি টাকার এফডিআর ও মোট ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকার অঙ্ক লেখা বিভিন্ন ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া মিজান পালানোর আগে ব্যাংক থেকে ৬৮ লাখ টাকা উত্তোলনের চেকবইও উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা হয়।

শ্রীমঙ্গল থেকে মিজানকে আটকের সময় তাঁর হেফাজত থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। শ্রীমঙ্গল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়।

চলমান জুয়া ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে হাবিবুর রহমান মিজানকে আটক করা হয়। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, মিজান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পরই লাপাত্তা হন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।