সন্ত্রাস বন্ধে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ: প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালীতে নারী স্কুল শিক্ষকের হত্যাকাণ্ড এবং ঢাকায় অপর এক নারী শিক্ষক অগ্নিদগ্ধ হবার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের দায়ী করে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার সরকার এ ধরনের ঘটনা আর সহ্য করবে না এবং প্রয়োজনে এ ধরনের হত্যাকা- বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
image_112138_0
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের অপরাধের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। নোয়াখালীতে স্কুল শিক্ষকের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াতই দায়ী।তিনি এ ধরনের অপরাধ করা থেকে বিরত থাকতে বিএনপি-জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- আর সহ্য করব না এবং এ ধরনের অপরাধ বন্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন।

প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠান থেকে সারাদেশে পাঠ্য বই বিতরণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালী ও ঢাকায় যারা এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে, তাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা কখনোই চাই না, কেউ এ ধরনের অপরাধ করুক, আমরা অবশ্যই অপরাধীদেরকে খুঁজে বের করব এবং এ ধরনের জঘন্য অপরাধ বন্ধে অপরাধীদের বিচার করব ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ যে মুহূর্তে শান্তিতে বসবাস করছে, ঠিক সে সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, সোমবারের বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ডাকার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে, আমার জানা নেই। তিনি হরতাল আহ্বানকারী বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা একজন স্কুল শিক্ষককে হত্যা করে এবং অপর একজন স্কুল শিক্ষককে পুড়িয়ে কি পেয়েছে। তারা একজন স্কুল শিক্ষকের জীবন কেড়ে নেয়া ছাড়া এবং অপর একজন আগুনে পোড়ানো ছাড়া আর কিছু তো পায়নি। গত সোমবারের হরতাল থেকে তারা আর কিছুই পায়নি। তাহলে কেন এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হলো। মানুষ মারা এবং পোড়ানোই যদি তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তাহলে এটি হবে খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, তারা কেন একজন স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা চালাবে।

শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে সারা বছর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় একজন স্কুল ছাত্রী তার চোখ হারিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধে আন্দোরনের নামে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং সারাদেশে ৫৮৪টি স্কুল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তারা শিক্ষক ও ছাত্রদের উপরও হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, তারা নির্বাচনের আগে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল। কিন্তু কী করতে পেরেছে। নির্বাচন হয়েছে। তারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে পারেনি। তাহলে তারা কেন পুনরায় মানুষ হত্যা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভাল কর্মসূচি দিলে এবং জনগণের জন্য ভালো কাজ করলে জনগণকে বলতে পারত এবং জনগণের সমর্থন পেত। কিন্তু তারা জনগণের সমর্থন পাচ্ছে না। জনগণ তাদের ব্যাপারে খুবই সচেতন। ফলে আমি মনে করি, বিএনপি নেতাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- থেকে বিরত থাকা উচিত এবং জনগণকে শান্তি ও স্বস্তিতে থাকতে দেয়া উচিত। সূত্র: বাসস