অন্যায় করলে কেউ ক্ষমা পাবেন না : তোফায়েল

SHARE

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও ভোলা এক আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীর সাথে অঙ্গিকার করেছেন সমাজে ক্যাসিনো, মদ, জুয়া তিনি অনুমোদন করবেন না। যারা দুর্নীতি করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। অন্যায় করলে কেউ ক্ষমা পাবেন না।

গতকাল রবিবার ভোলা সদর উপজেলা পূজা পরিষেদের আয়োজনে বাপ্তা শক্তি সংঘ শ্রী শ্রী দূর্ঘা মাতার মন্দীরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভোলা জেলায় এবছর ১০৭টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২৫টি পূজামণ্ডপ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ আরো বলেন, ৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে এ ভোলাতেও অনেক অত্যাচার হয়েছিল, তখনও আমি আপনাদের পাশে ছিলাম। তিনি আরো বলেন, তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছিলো কারন, তখন আপনারা আমায় ভোট দিয়েছিলেন। তাদের দোষ ছিলো ৯১তে ভোলা ১ ও ২ আসনে আমাকে বিজয়ী করেছেন। তেমনি করে আবার ২০০১ সালেও বিএনপি জামাত এ ভোলাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার করেছিলো।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। এ দেশটাকে তিনি স্বাধীন করেছিলেন একটি অস্প্রধায়িক ও গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে। যার জন্য আমারা ছাত্র জীবনে স্লোগান দিতাম জাগো জাগো বাঙ্গালী জাগো। কে হিন্দু কে মুসলি, খ্রিস্টান এ ভেদাভেদ সে সময় ছিল না। তুমি কে আমি কে বাঙ্গালী বাঙ্গালী । পাঞ্চাব না বাংলা, পিন্ডি না ঢাকা- এসব স্লোগান দিয়ে আমরা একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছি। আমাদেরকে যখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী হত্যা করে কে হিন্দু কে মুসলিম তা বিচার করেনি। তাই বঙ্গবন্ধু যখন সংবিধান প্রণয়ন করেন, তখন চারটি মূলনীতি ,গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ রেখেছিলেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুল, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কাওসার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, ভোলা জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ দুলার চন্দ্র ঘোষ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ও ভোলা পৌরসভার সব কাউন্সিলর।