‘টাকা রাখার জায়গা না পেয়ে ৭২০ ভরি সোনা কেনেন এনামুল’

SHARE

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি বাড়ি আছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব বাড়িগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। অভিযানে পাঁচটি অত্যাধুনিক অস্ত্রও উদ্ধার করে র‍্যাব।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এনামুল ক্যাসিনোর অবৈধ টাকা ভোল্টে রাখতেন। তবে টাকা ভোল্টের ভেতরে বেশি জায়গা নেয় বলে তিনি টাকাকে স্বর্ণে কনভার্ট করে ফেলতেন। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এনামুলের ১৫টি বাড়ি আছে। এনামুল ও রূপন অস্ত্র দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতেন। অভিযান পরিচালনার আগে রূপন পালিয়ে যান। আর এ বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি, এনামুল ১৫ দিন আগে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভল্টগুলো খোলা হয়। সেখান থেকে তারা এক কোটি ৫ লাখ টাকা ও ৭২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছেন। এ ছাড়া পাঁচটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব।

সূত্র জানায়, এনামুল ও রুপনা ৬ ভাই। ১৯৮৫ সাল থেকেই এনামুল ওয়ান্ডার্স ক্লাব ও রুপন আরামবাগ ক্লাবে জুয়া খেলত। কিন্তু গত তিন-চার বছর আগে তারা হঠাৎ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি কেনা শুরু করে। যে বাড়িটি র‌্যাব ঘিরে রেখে অভিযান চালাচ্ছে সে বাড়িটি গত দেড় বছর আগে হারুনুর রশীদ নামে একজনের কাছ থেকে তারা কিনেছেন। ভবনের চতুর্থ তলায় এনামুলের শ্যালক-শাশুড়ি থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, ওয়ারী, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, বংশাল, কোতোয়ারী থানা এলাকায় এই পরিবারের ৫০টির মতো বাড়ি রয়েছে। তবে এই রুপন এবং এনামুল কোন বাড়িতে থাকে সেটি তারা জানেন না।

র‍্যাব আরো জানায়, নারিন্দার একটি বাসায় এনামুলের আরো একটি ভল্টের সন্ধান মিলেছে। সেখানেও অভিযান চালানো হবে।