কাশ্মীর ইস্যুতে কূটনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ বলে জানালেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। জানা গেছে, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গেছেন কুরেশি। মঙ্গলবার সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে বলে সারাবিশ্বের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে ভারত। তাই যদি হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে ভারতের ওই রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? নিজের চোখে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? দাঁত চেপে মিথ্যা বলে যাচ্ছে ভারত। কারফিউ উঠলেই আসল চিত্র বেরিয়ে পড়বে। আর সারাবিশ্ব ঘুম ভেঙে দেখবে কী ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছে সেখানে।
জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের রাজ্য বলে উল্লেখ করে এরই মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদ্রূপের শিকার হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাধীনতার ৭২ বছর পর অবশেষে পাকিস্তান কাশ্মীরকে ভারতের অংশ বলে মেনে নিল বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকে। এতদিনে পাক মন্ত্রী সত্যটা মেনে নিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। আবার কুরেশির তীব্র সমালোচনা করেন পাক সমর্থকদেরও অনেকে। তাদের কথায়, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করার সময় সতর্ক থাকা উচিত ছিল মন্ত্রীর।
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘে ১১৫ পাতার বিশেষ ডসিয়ারও জমা দিয়েছে পাকিস্তান। উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা যে মন্তব্য করেছিলেন, তারও উল্লেখ রয়েছে তাতে।
সেই ডসিয়ার জমা দিয়ে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন কুরেশি। উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের নেতৃত্বে যৌথ তদন্ত কমিটি গড়ার দাবিও তোলেন।