৭৫’র নেপথ্যের কুশীলবদের খুজঁতে কমিশন হবেই: আইনমন্ত্রী

SHARE

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য একটা কমিশন গঠন করবোই। এই কমিশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রী পরিষদ।

তিনি বলেন, এটা একটা বিশেষায়িত কমিশন হবে। এই কমিশন ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের কোন প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় আনা যায় সেবিষয়ে সুপারিশ করবে।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরীষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন বর্তমান সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আজকে আমরা সম্ভাবনার আলো দেখছি। আজকে আমরা একটা কমিশন গঠন করতে পারি। জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনেই আজকে আমরা সম্ভবনার আলো দেখছি।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করিয়েছেন। তিনি বিচার শেষ করেছেন। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার শেষ করেছেন। আর যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করে শেষ করে রায় কার্যকর করেছেন। এই সব বিচার হয়ে যাওয়ার কারনেই আমাদের সামনে কুশিলবদের ধরার সাহস হয়েছে।

তিনি বলেন, এই কমিশনের চেয়ারম্যান কে হবেন, কতজন সদস্য বিশিষ্ট হবে, মেয়াদ কত দিন হবে, কি কি করবে-এটা ঠিক করে দিতে হবে। অনুসন্ধান কমিশন আর এ কমিশন এক না। এটা একটা বিশেষায়িত কমিশন হবে। এই কমিশন ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের ব্যাপারে তাদেরকে কোন বিচারের আওতায় আনা হবে সেই সুপারিশ করবে। একটা কমিশন কিন্তু বিচার করতে পারে না। কমিশন সুপারিশ করতে পারে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশকে আলাদা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন জিয়াউর রহমান। যখন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জ রুজু করা হয়, দেখা যায় জিয়াউর রহমানের নাম পাতায় পাতায়। কিন্তু তার সৌভাগ্য তখন তিনি জীবিত ছিলেন না। না হলে এই মামলার তিন নম্বর আসামি হতো জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, এই ফারুক, রশিদকে জিয়াউর রহমানের আমলে দেশের বাইরে রাখার পরিকল্পনা ছিল। এমন ঘটনাও জানি তাদেরকে ধরে মাসের পর মাস ক্যান্টমেন্টে রেখে দিয়েছে। একবারও জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা করে বিচার করেন নাই। এতে এটাই প্রমাণ করে জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এরপর এরশাদ সাহেবও তাই করেছেন।

গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, একাত্তর, পচাত্তর এবং একুশে আগস্টেও ঘটনা একই সমীকরণে গাঁথা। আমি বলি দুইটি শ্রেণি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত। একটি হলো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আরেকটি প্রতিক্রিয়াশীল। দুই কুকুরের লড়াই যারা বলতো তারা শ্রেনি শত্রু খতমের নামে আমাদের এমপি ও নেতাদের হত্যা করেছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। ১৬ ডিসেম্বর তারা নাজাত দিবস পালন করেছিল। সেই ব্যক্তিরাই জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়েছিল।