উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন

SHARE

koriya uউত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির ওপর নজরদারি বৃদ্ধির কথা ঘোষণার পর সেখানকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।

জাতিসংঘএর আগে নিরাপত্তা পরিষদে কেবলমাত্র দেশটির পারমানবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতো।

মাত্র কদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই পিয়ংইয়ংকে সনি পিকচার্স কর্পোরেশনে সাইবার আক্রমণের জন্য অভিযুক্ত করে।

পিয়ংইয়ং এর বাসিন্দারা বলছেন, সোমবার দেশটিতে বছরের সবচেয়ে খারাপ ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। একপর্যায়ে তা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। তবে ঠিক কি কারণে এমনটি হচ্ছে, তা কেউ নিশ্চিত নন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে হতে পারে। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, হয়তো সনি পিকচার্স কর্পোরেশনে চালানো উত্তর কোরিয়ার সাইবার আক্রমণের জবাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে সোমবারই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্যসূচিতে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে, চীন ও রাশিয়া এ বিষয়ে ভোটদানে বিরত ছিল।

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে তার কর্মকা-ের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সামান্থা পাওয়ার বলেন, আজ নিরাপত্তা পরিষদের নীরবতা ভাঙলাম আমরা।

উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে আমরা যা দেখলাম তা অত্যন্ত ভীতিকর।

নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়টি আজকে এজেন্ডাভুক্ত করা সেখানকার মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বছরের শুরুতে উত্তর কোরিয়ায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশটিতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

সামান্থা পাওয়ার এ জন্য পিয়ংইয়ং এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আর্জি জানাতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।

যদিও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়ে বিবিসি। কেননা চীন এ ক্ষেত্রে বিরোধিতা করবে।

তবে দেশটির ওপর নিরাপত্তা পরিষদের নজরদারি বৃদ্ধির ফলে সামনের দিনগুলোতে পিয়ংইয়ং এর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ যে বাড়তে যাচ্ছে সেটি পরিষ্কার।