সাতক্ষীরা ও বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

SHARE

সাতক্ষীরায় নজরুল ইসলাম (৪৮) ও বান্দরবানে মংমং থোয়াই মারমা (৫৫) নামে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। দুটি ঘটনাই আজ সোমবার দুপুরের। সাতক্ষীরা শহরতলীর কাসেমপুর স্টোন ব্রিকস এলাকা ও বান্দরবানের শামুকছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো সংবাদ-

সাতক্ষীরা : নিহত নজরুল ইসলাম সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের মৃত নিছার আলীর ছেলে। তিনি ওই উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ জানায়, সকালে কদমতলা বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন নজরুল ইসলাম। তিনি সদর উপজেলাধীন কদমতলা-বৈকারী সড়কের কাসেমপুর স্টোন ব্রিকস এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে এগিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে কাসেমপুর হাজামপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে যান নজরুল ইসলাম। সেখানেই মারা যান তিনি। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী সাতক্ষীরা-বৈকারি সড়ক অবরোধ করে।

খবর পেয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

এর আগে নিহত নজরুল ইসলামের ভাই সিরাজুল ইসলামকে বোমা মেরে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসীরা। বছর দুয়েক আগে তার ভাইপো যুবলীগ নেতা রাসেল কবীরকেও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে।’

বান্দরবান : নিহত মংমং থোয়াই মারমা তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বলে জানা গেছে। তিনি আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ মোটরসাইকেলে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে বান্দরবানে ফিরছিলেন মংমং থোয়াই মারমা। এ সময় শামুকছড়ি এলাকায় তিনি পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তার পথরোধ করে কাছ থেকে তাকে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে তার শরীরে কয়েক রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় বান্দরবানে নিয়ে আসার পথেই তার মৃত্যু হয়।

বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হ্লা থোয়াই হ্রী মারমা জানান, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে-সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। তবে মংমং থোয়াইর আত্মীয়-স্বজন এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতিকে দায়ী করেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

এর আগে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মং প্রু, বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক চথোয়াই মংসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে মামলা করেছে। মামলায় জনসংহতি সমিতির কয়েকজন সিনিয়র নেতা কারাগারে আটক আছে।