ভারতের লোকসভা নির্বাচনের খেসারত এখনো দিচ্ছেন ফেরদৌস

SHARE

ভারতের লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরিয়ে গেছে। তাতে আরো জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় বহাল রয়েছে বিজেপি। ভোটের ফলাফলে সে দেশের অনেকের যেমন কপাল খুলেছে, পুড়েছেও বহুজনের। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেরও একজন সেই লোকসভা ভোটের খেসারত দিয়ে যাচ্ছেন এখনো।

তিনি হলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস। তিনি এ ব্যাপারে বলেন, আমার চারটি চলচ্চিত্র আটকে আছে। আমার এজন্য খারাপ লাগছে যে, আমার ওইসব সিনেমার সহ-অভিনেতা এবং পরিচালক ও প্রযোজকরা এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

৪৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে আসতে বাধ্য হন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর হয়ে সে দেশের লোকসভা নির্বাচনে ভোট চেয়ে প্রচারণায় নামার অভিযোগে ভারত ছাড়ার সরকারি নোটিশে তিনি ফিরে আসতে বাধ্য হন।

ফেরদৌস বলেন, আমার মেয়ে যখন আমাকে বলে যে তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে, সেটা তাদের সবচেয়ে পছন্দের শহর। আমি তাদের কিছু বলতে পারি না। আরেকদিন আমার বড় মেয়ে আমাকে বলল যে, সে তার সহপাঠীদের কাছে শুনেছে আমি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে কখনোই ভারতে প্রবেশ করতে পারবো না। এটা শুনে নিজেকে অসহায় মনে হয়েছে।

ফেরদৌসের দুই মেয়ে। নুজহাতের বয়স ১২ বছর এবং নামিরার বয়স আট বছর। ফেরদৌস বলেন, মানুষ আমার কাছে জানতে চাচ্ছে যে, কেন এমনটা করলাম। এটা লজ্জার ব্যাপার … সত্যিই আমি এজন্য দুঃখিত … এটা সত্য যে আমার আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কখনোই কলকাতায় নিজেকে বিদেশি হিসেবে মনে করিনি।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর হয়ে প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য ফেরদৌসের বাণিজ্যিক ভিসা বাতিল করেছে ভারত। ফেরদৌস বলেন, তার ওপর যে ধরনের অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, সেটা মেয়েদের কাছে ব্যাখ্যা করা তার কাছে কঠিন।

তিনি বলেন, আমার স্ত্রী তানিয়া একজন পাইলট। সে প্রতি সপ্তাহে আমাদের দেশ থেকে কলকাতায় বিমান উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা আমার কাছে জানতে চায়, যদি তাদের মা সেখানে যেতে পারে, কেন আমি পারছি না।

ফেরদৌস বলেন, বিদেশি নাগরিক হয়েও প্রচারণায় অংশ নেয়াটা ছিল আমার একেবারেই বোকামি। এজন্য সত্যিই আমি দুঃখিত।