স্বামীর অনুপস্থিতিতে বহুগামিতা, গোপনে সন্তান হত্যা, ধরিয়ে দিল গ্রামবাসী

SHARE

মা সন্তানকে বাঁচাতে নিজের জীবন পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত থাকে সব সময়। কিন্তু ভারতের নাদিয়র নাকাশিপাড়া থানার বিল্য গ্রামে ঘটেছে পুরোপুরি ভিন্ন রকম এক ঘটনা। নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে মেরে বাড়ির পিছনে কবর দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানতে পেরে অভিযুক্ত নারীর বাড়ি ভাঙচুর করেন এলাকার নারীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নাকাশিপাড়া থানার বিল্যগ্রামের করালি মাঠের বাসিন্দা চম্পা মণ্ডলের স্বামী প্রদ্যুৎ মণ্ডল কর্মসূত্রে কেরলে থাকেন। এদিকে দুই সন্তানের মা ওই গৃহবধূ সম্প্রতি আবারও সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বামী বাইরে থাকার সুযোগে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রাখতেন অভিযুক্ত চম্পা মণ্ডল। আর সেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই আগেও একবার সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেবারেও তিনি তার সদ্যোজাত সন্তানের গলা টিপে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। পরে সবাইকে ওই গৃহবধূ জানায়, তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছিলেন।

এদিকে তার স্বামীয় অনুপস্থিতিতে ওই মহিলা আবরো সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে তার উপর নজর রাখতে শুরু করেন স্থানীয় নারীরা। অভিযোগ, মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই নারীর গর্ভে সন্তান থাকলেও বুধবার বিকেলে স্থানীয় মানুষজন খেয়াল করেন তার গর্ভে সন্তান নেই। এর পরই চম্পাকে তার সন্তানের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি আর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর স্থানীয় নারীরা চেপে ধরলে তার সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর কথা তিনি স্বীকার করেন। ওই গৃহবধূর বাড়ির পিছনে মাটি খুঁড়ে সদ্যোজাতের মরদেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই উত্তেজিত স্থানীয় মানুষ ওই নারীর বাড়ি ভাঙচুর করেন।

এই ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।