সদরঘাটে নৌকাডুবিতে লাশ হয়ে ফিরল নিখোঁজ দুই শিশু

SHARE

রাজধানীর সদরঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তাঁদের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানা যায়।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা ৪০ মিনিটে ওয়াইজঘাটের দিকে ডিঙ্গি নৌকাটি থেকে লঞ্চের ঢেউয়ে ডুবে যায়। খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

পরে সকাল সাড়ে ১০টায় তিনজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানায় নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড। তারা হলেন- বাবুল ফরাজি (৪২), শামিম মৃধা (৩০) ও ছয় মাসের একটি বাচ্চা। সে সময় ও নিখোঁজ ছিল দুই শিশু মেশকাত (১২) এবং নুসরাত (৫)।

বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মেশকাতের এবং সোয়া ১২টার দিকে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল। ডিঙ্গি নৌকা যেখানে ডুবেছিল তার পাশ থেকেই মেশকাত ও নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য কাজী ফয়সাল হোসেন ও মেরাজ আহমেদ তাদের মরদেহ উদ্ধারের কথা গণমাধ্যমকে জানান।

সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওয়াইজঘাট থেকে নদীর ওপারে যেতে যাত্রীবাহী একটি ডিঙ্গি নৌকা রওয়ানা দেয়। এ সময় লঞ্চের ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই শিশুসহ পাঁচ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি আনুমানিক ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ডুবে যায়। খবর পেয়ে নৌ পুলিশের চৌকস টিম কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, বরিশাল থেকে আসা লঞ্চ থেকে নেমে নৌকায় কেরানীগঞ্জ যাবার সময় লঞ্চের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে এক পরিবারের চারজনসহ আরো এক যাত্রী ছিল। বাকিরা সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও দুই শিশু ডুবে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাশেদ সিকদার বলেন, লঞ্চের ঢেউয়ের কারণে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। নৌকাটিতে পাঁচ যাত্রী ছিলেন।