ফের মিথ্যে প্রমাণিত হলেন তনুশ্রী!

SHARE

তনুশ্রীর আনা যৌন হেনস্থা মামলায় কিছুদিন আগেই ছাড় পেয়েছেন নানা পাটেকর। এবার ফের একবার মিথ্যা প্রমাণিত হলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। তনুশ্রী তাঁর অভিযোগের ভিত্তি হিসাবে যে তথ্য দিয়েছিলেন, সেই তথ্যটাই এবার ভুল প্রমাণিত হলো।

তনুশ্রীর বক্তব্য অনুসারে ২০০৯ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ নামে একটি ছবির গানের শুটিং-এর সময় তাঁকে আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করেন নানা। তিনি ওই আইটেম নাম্বারের শ্যুটিংয়ের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তনুশ্রীর কাছে আসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই নাকি শুটিং সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রাক্তন অভিনেত্রী। গত ৭ মাস আগে এই অভিযোগের ভিত্তিতে #MeToo কেসে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে মুম্বাই-এর ওশিওয়ারা থানা।

মোট ১২-১৩ জনের বয়ান রেকর্ড করে পুলিস। তবে পুলিসের দাবি, কেউই তনুশ্রীর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে প্রমাণের অভাবে গত ১৩ জুন নানাকে আদালতের কাছে ছাড়পত্র দেয় পুলিশ।

সম্প্রতি এই মামলায় নতুন করে একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে আরও একবার প্রমাণিত হচ্ছে তনুশ্রীর দাবি মিথ্যে। দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তার কথায়, গানের শ্যুটিংয়ের সময় দুজন অভিনেত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে একজন ওই সময় ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির কোরিওগ্রাফার গনেশ আচার্যর সহকারী হিসাবেও কাজ করছিলেন। শ্যুটিংয়ের সময় নানা পাটেকর গনেশকে বলেছিলেন তিনি ভাল নাচতে পারেন না। তাই নাচের রিহার্সাল চলছিল। তনুশ্রী তিনদিন আগে থেকেই সেটে উপস্থিত ছিলেন। গানের দৃশ্যে তাঁদের দুজনের মধ্যে বেশ অনেকটা দূরত্ব ছিল ও তাঁদের চারপাশে অন্তত ৩০০-৪০০ লোক নাচছিলেন।

দ্বিতীয় প্রত্যক্ষদর্শীও প্রথমজনের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তাঁর কথা অনুযায়ী তনুশ্রী-নানা একই স্টেপে নাচ করলেও তাঁদের মধ্যে অনেক দূরত্ব ছিল। তাঁরা কখনওই একসঙ্গে নাচছিলেন না।

তনুশ্রীর অভিযোগ অনুসারে ওই গানের শুটিং-এর সময় নানা পাটেকর দরকার না থাকলেও সেটে আসতেন। প্রথমে তনুশ্রীকে বলা হয়েছিল গানটিতে শুধু তিনিই নাচবেন। কিন্তু পরে তিনি পরিচালকের মাধ্যমে জানতে পারেন নানাও এই গানের শুটিং রয়েছেন। তাঁর মতে নানা ইচ্ছা করে গানের দৃশ্য পরিবর্তন করেছিলেন যাতে তিনি তনুশ্রীর কাছে এসে তাঁকে স্পর্শ করতে পারেন।

এমনকি নানা পাটেকর ছাড়পত্র পাওয়ার পর তনুশ্রী অভিযোগ করেন, তাঁর পক্ষের কোনও প্রমাণ পুলিশের কাছে পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর সাক্ষীরা হুমকি পাচ্ছেন। প্রাক্তন অভিনেত্রীর কথায়, আমাদের ১০ জন সাক্ষী আছে। মাত্র ১টা কি দুইটা বয়ান রেকর্ড হয়েছে। বাকিরা হুমকির ভয়ে কেউ কিছু বলতে চাইছে না। পুলিশ বলছে প্রমাণ নেই। জিনিউজ