পারিবারিক কোন্দলের জেরে এক অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আরেক নারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, লাথি মারার কারণে ভ্রূণটি নষ্ট হয়ে গেছে। ভারতের শান্তিনিকেতন থানার লালবাঁধে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্তকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালবাঁধ গ্রামের কয়েজন শিশু অভিযুক্ত আশা মাহাতোর বাড়ির সামনে খেলছিল। তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা মীনা মাহাতোর বছর তিনেকের মেয়ে ওই বাড়ির সামনের অংশে শৌচকর্ম করার অভিযোগ ওঠে।
আশা মাহাতো তা দেখে চিৎকার শুরু করেন। ৩০ বছর বয়সী মীনাদেবী বাড়ি থেকে বেরিয়ে তা পরিষ্কার করতে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মীনাদেবী মাটিতে বসে থাকা অবস্থাতেই আশা মাহাতো তাকে লাথি মেরে ফেলে দেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারপর পেটে পা দিয়ে লাথিও দেন। মীনাদেবীর শাশুড়ি বেনারসীদেবী জানান, ওই আঘাতের পরই তার ছেলের বউ যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে ভ্রূণের কিছু অংশও বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ‘আক্রান্ত’ নারীর স্বামী বিমলবাবু হাতে কাপড় জড়িয়ে ওই ভ্রূণটিকে বের করেন।
সেটি মৃত বলে মনে করে একটি পুকুরের পাশে পুঁতেও দেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মীনাদেবীর শরীর খারাপ হয়। বিমলবাবু জানান, তাকে বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পর শান্তিনিকেতন থানায় আশা মাহাতোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তার পরই তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ বলছে, তদন্তের স্বার্থে ওই ভ্রূণটি মাটি খুঁড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মীনাদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গ্রামবাসীর একাংশের বক্তব্য, পাড়া-পড়শির সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না আশা মাহাতোর। তিনি একাই থাকেন। কোনো পরিজনও তার নেই।