ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, আল্লাহর মেহমান হজযাত্রীদের সর্বোচ্চমানের সেবা প্রদানের ব্রত নিয়ে হজ চিকিৎসক দলকে সেবা প্রদান করতে হবে। হাজীদের সেবা প্রদানে যে কোনো ধরনের অবহেলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে দায়ী ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকাল ১১টায় ঢাকা আশকোনা হাজী ক্যাম্পে হজ চিকিৎসক দল-২০১৯ এর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ চিকিৎসক দল গঠনের ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের সৌদি আরবের স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজনীয় দিকসমূহ বিবেচনা করে বিভিন্ন বিষয়ের চিকিৎসকদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয়সংখ্যক অভিজ্ঞ নার্স, ফার্মাসিস্ট এবং টেকনোলোজিস্ট মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পূর্বের বছরসমূহের তুলনায় এ বছর হজযাত্রীদের চিকিৎসা সেবাকে আরো সহজ, উন্নত এবং প্রযুক্তিনির্ভর করা হয়েছে। তিনি বলেন, হজ চলাকালীন হজ চিকিৎসক দলের সদস্যদের সেবা প্রদান কার্যক্রম তদারকি করা হবে এবং তা মূল্যায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর ইতিমধ্যে অধিকাংশ হজ এজেন্সি তাঁদের টিকেট সংগ্রহ করেছে। অবশিষ্ট এজেন্সীসমূহ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সংগ্রহ করবে। এ বছর টিকেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়া সাপেক্ষে আগামী দু’একদিনের মধ্যে হজ ভিসার আবেদন করা হবে।
ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মুজিবুর রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হজ) এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এ বছর হজ মৌসুমে সৌদি আরবে অসুস্থ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল কোর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইসলামিক মিশনের মোট ২৩০ সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘হজ চিকিৎসক দল’ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসক ১০৫ জন, নার্স ৭৫ জন, ফার্মাসিস্ট ৪০ জন, ওটি অ্যাসিসটেন্ট ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ১০ জন।
