দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সফরে কোরীয় পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয় এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করবেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্টের এ সফরকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যদিয়ে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা শুরুর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আর সংকট সমাধানে আলোচনাকে একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া।
প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনংপিং। ১৪ বছরের মধ্যে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর এটি। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের আমন্ত্রণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ে অবস্থান করবেন শি। বৈঠক করবেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সোমবার দু’দেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
এদিকে শিয়ের উত্তর কোরিয়া সফরকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে সিঙ্গাপুর সম্মেলনে কিম জং উনের দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চেয়েছে হোয়াই হাউজ। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা গুরুত্ব পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আর সংকট সমাধানে আলোচনাকেই একমাত্র উপায় বলছে রাশিয়া। সোমবার মস্কোয় দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাপানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের সপ্তাহখানেক আগে উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন শি। ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সম্মেলন শেষে দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ অবস্থায় জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আগে শিয়ের উত্তর কোরিয়া সফরকে ট্রাম্প-শি বৈঠকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সংকট সমাধানে দরকষাকষির মাধ্যম হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে উত্তর কোরিয়া সফর করেন তৎকালীন চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। গতবছরই চারবার চীন সফর করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চনেতা কিম জং উন।