বাংলাদেশ বরাবরই স্পিননির্ভর দল, জানেন উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। আজ বিশ্বকাপে দুই দলের মধ্যে ম্যাচেও এর কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে করছেন তিনি। স্পিন নির্ভর দলই সাজাবে বাংলাদেশ, আশা করছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
আজ বাংলাদেশ আর উইন্ডিজ মুখোমুখি হবে টন্টনে। টন্টনের মাঠ বেশ ছোট, একটু জোরে মারলেই বাউন্ডারি হয়ে যায়। স্পিন একটু দেখেশুনে খেললেই উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের রান তোলা তেমন কষ্টকর হবে না। কেননা গেইল, রাসেল, ব্রাফেট, লুইস, হোপ, হেটমায়ার—উইন্ডিজের এই দলটায় মারকুটে ব্যাটসম্যানের অভাব নেই কোনো। এসব কিছু ভেবেই কি না, উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার চাইছেন, বাংলাদেশ যেন স্পিননির্ভর দলই সাজায়।
টন্টনের উইকেটে বেশ ঘাস আছে। ঘাসময় সবুজ উইকেটকে পেসারদের স্বর্গ হিসেবে মানা হয়। সে হিসেবে টন্টনের উইকেট দেখে দুই দলের পেসারদের জিভে পানি চলে আসার কথা। তবে হোল্ডার মনে করছেন, উইকেটে ঘাস থাকলেও বাংলাদেশ স্পিনের ওপর নির্ভর করেই দল সাজাবে। চাইলেও বাংলাদেশ তাদের স্পিন শক্তিকে ব্যবহার না করে থাকতে পারবে না, ‘বাংলাদেশ সাধারণত স্পিননির্ভর দলই সাজায় সব সময়। তারা যদি সে কৌশল থেকে সরেও আসতে চায়, কতটুকুই বা আসবে?’
উইকেটে ঘাস দেখে হোল্ডারও বুঝেছেন, কটরেল-টমাসদের দু’হাত ভরে দিতে প্রস্তুত টনটন, ‘আমরা মাঠ দেখলাম। ছোট একটা মাঠ। উইকেটও দেখলাম কিছুক্ষণ। উইকেটে ঘাস আছে বেশ। দেখা যাক, কালকে উইকেট কেমন আচরণ করে। আমরা জানি ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ কীভাবে দল সাজায়। তাই সে কৌশল থেকে খুব বেশি সরে এসে যে তারা মূল একাদশ ঘোষণা করবে, সেটা মনে হচ্ছে না।’
নিজের দলের ব্যাটসম্যানরা তেমন রান পাচ্ছেন না। গেইল-রাসেলদের ব্যাটে এখনো প্রত্যাশিত ঝড় দেখা যায়নি। তাতে হোল্ডারকে বিশেষ বিচলিত বলে মনে হলো না, ‘সবাই রানের জন্য ক্ষুধার্ত। বেশ কিছু খেলোয়াড় তাদের ইনিংস প্রত্যাশামাফিক বড় করতে পারেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা আরেকটা সুযোগ পাচ্ছে। আশা করি বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস পেয়ে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোয় জ্বলে উঠবে তারা।’