ঈদের সঙ্গে বিশ্বকাপ; কোনটা বড় উৎসব ইংল্যান্ড প্রবাসীদের?

SHARE

বাংলাদেশে ঈদ নিয়ে যত নাটকীয়তা হয়েছে ইংল্যান্ডে এসবের বালাই নেই। আর সব ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মতো তারাও সৌদি আরবকে অনুসরণ করে ধর্মীয় এই উৎসবটি পালন করে থাকে। ফলে আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল ৪ জুন উদযাপিত হবে ঈদ। তবে কেমন হয় ইংল্যান্ডের ঈদ? সেই কৌতুহল মেটাতে কথা হয় বেশকিছু প্রবাসী বাংলাদেশির সাথে।

এখানে ১০ বছর ধরে থাকা আসাদ বলেন সাধারণত নিজেদের মতো করে পরিবারকে সাথে নিয়েই হয় ঈদ উদযাপন। তার ভাষায়, ‘কারো ছুটি মেলে তো কারো মেলেনা। সেক্ষেত্রে সকালে ঈদের নামায পড়ে কেউ কাজে যোগদান করছেন, আবার কেউবা কাজ শেষ করে এসে পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন কিংবা আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করছেন। বড় জামাতটা হয় ইস্ট লন্ডন মসজিদে। এছাড়া বিভিন্ন পার্কেও অনুষ্ঠিত হয় ঈদের নামাজ।’

এছাড়া ঈদের কিছু আনুষ্ঠানিকতা তো করতেই হয়। তাই তো ঈদের সপ্তাহখানিক আগে থেকে ভিড় বাড়ে ইস্ট লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার দোকানগুলোতে। ঈদের আগের রাতে বড়সড় উৎসবই হয় গ্রিন স্ট্রিট, ব্রিকলেন, আপটন পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায়।পাকিস্তানি, ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশিরাও মেতে ওঠেন মেহেদী উৎসবসহ নানা আয়োজনে। প্রায় সব মুসলমানদের বাড়িতেই একটু বিশেষ কিছু রান্নাও হয়।

ঈদের দিন সকাল থেকেই লন্ডনের স্বাভাবিক ব্যস্ত নাগরিক জীবন। এর মাঝেই নতুন পাঞ্জাবি পড়া বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের সহজেই আলাদা করে চোখে পড়ে। হয় নামাজে যাচ্ছেন কিংবা নামাজ থেকে ফিরছেন। টিউবেও দেখা মেলে ঈদের পোশাকে থাকা পুরুষ ও নারীদের। তবে ঈদের এই স্বাভাবিক উদযাপনে এবার যোগ হয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আর সেটাই প্রবাসীদের আনন্দ যে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

স্টেডিয়ামে দলকে সমর্থন দিতে প্রবাসীদের ঢল নামছে। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো ম্যাচের টিকিট অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। বিদেশে বসে নিজ দেশকে সমর্থন করাই আনন্দটাই যে অন্যরকম। আনিসুর নামের এক প্রবাসী বলেন, ‘এবারের ঈদের আমেজটাই অন্যরকম। ঈদের সময় মাঠে বসে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ আমার আগে হয়নি।’