ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট কোথায় উধাও হলেন?

SHARE

তিন সপ্তাহ ধরে জনসম্মুখে আসছেননা ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট, আর এর মধ্যেই বাড়ছে তার স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা।

ছিয়াত্তর-বছর বয়সী নুয়েন ফু চং গত ১৪ই এপ্রিল অসুস্থ হওয়ার পর থেকে রীতিমত উধাও হয়ে গেছেন।

মি. চং গত শুক্রবার দেশটির সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্যে অনুপস্থিত থাকায় তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা আরও জোরদার হয়।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা আসেনি।

অথচ ওই অনুষ্ঠানে তারই সভাপতিত্ব করার কথা।

অত্যন্ত গোপনীয়
ওই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আগে সরকারি একজন মুখপাত্র বলেছেন, কাজের চাপ ও আবহাওয়া প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে।

তিনি বলেন মি. চং শিগগিরই কাজে ফিরবেন কিন্তু রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা বাড়তে থাকে।

“একদলীয় শাসনের অধীনে ভিয়েতনামে দলীয় নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি দেশটিকে একটি স্থিতিশীল জাতি হিসেবে তুলে ধরে বলে মনে করা হয়,” বলছিলেন বিবিসি ভিয়েতনাম সার্ভিসের নিউই এডিটর জিয়াং নুয়েন।

“গত নভেম্বরে ভিয়েতনাম আইন পাশ করে যাতে দলীয় নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।”

মি. নুয়েন বলেন, এটি করা হয় গুজব থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে। এসব গুজবকে তারা সরকারবিরোধী আক্রমণ বলে মনে করে এবং এ আইন ইতোমধ্যেই স্থানীয় সাংবাদিকদের সতর্ক করেছে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে।

বয়স ও আপোষহীন ভাবমূর্তি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট চং তার দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের কারণে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

ওই অভিযানে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মি. চং সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হ্যানয় সফরের সময় তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা