অবশেষে কাশ্মীর ও অরুণাচলকে ভারতের অংশ বলে স্বীকৃতি চীনের

SHARE

জম্মু ও কাশ্মীর এবং অরুণাচলকে ভারতের মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করে দেখাল বেজিং। একই সঙ্গে মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্নে তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে চীন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন এবং ভারত উভয়েই ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সামনে। এই অবস্থায় ভারতকে কাছে টানা চীনের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।

কেউ-কেউ মনে করছেন, যেভাবেই হোক ভারতকে তাদের ওবর মহাযোগাযোগ প্রকল্পে সামিল করাতে বদ্ধপরিকর চীন। এ কারণে কিছুটা ছাড় দিতেও প্রস্তুত।

ভারতের কূটনৈতিক মহলের অভিমত, এটা ভারতের ভবিষ্যৎ সরকারের প্রতি বার্তা।

গতকাল থেকে বেজিংয়ে শুরু হয়েছে ওবর প্রকল্পের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। যথারীতি এবারেও তাতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে ভারত। নয়াদিল্লির আপত্তির মূল কারণ, ওবরের অধীন প্রস্তাবিত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে গেছে।

এদিকে, এই সিপিইসি-র পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে বেজিং। ভারত যদি অসহযোগিতা করে, তবে এই প্রকল্প নিয়ে সমস্যায় পড়বে চীন।

ওবর সম্মেলনে তাই ভারতের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বেজিং। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ওই সম্মেলনে ওবরের যে মানচিত্র দেখানো হয়েছে, সেখানে গোটা জম্মু ও কাশ্মীর এবং অরুণাচলকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা এর আগে কখনও ঘটেনি। অরুণাচলের একাংশকে দক্ষিণ তিব্বত এবং কাশ্মীরের একাংশকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর বলেই মানচিত্রে তুলে ধরার বিষয়টি চীন অনেক আগে থেকে করে আসছে।

এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, কেবল মানচিত্রে অরুণাচল বা কাশ্মীরকে স্বীকৃতি দেওয়াই নয়। মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘের জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য ভারতের দীর্ঘ অনুরোধের পর এবার নড়েচড়ে বসেছে বেজিং। জুন মাসে এ ব্যাপারে তাদের চূড়ান্ত মতামত জানিয়ে দেওয়া হবে জাতিসংঘকে।

অন্যদিকে, ভারতের নতুন সরকার গঠনের এক পক্ষকালের মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নির্ধারিত হয়ে রয়েছে। জানুয়ারি মাসে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন-এর বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন চীন, পাকিস্তান এবং ভারতের নেতারা।