বিমানে শ্লীলতাহানি: মেয়েরা মিলে অভিযুক্ত যাত্রীকে বেদম প্রহার

SHARE

পুরুষদের মাঝে একটি অংশের মানসিক বিকৃতি চরম আকার ধারণ করেছে। এদের জন্য মাটি কিংবা আকাশ- কোথাও স্বস্তিতে নেই নারীরা। এবার মাঝ আকাশেই ঘটল শ্লীলতাহানির ঘটনা। দুবাই থেকে দিল্লিগামী স্পাইস জেটের একটি ফ্লাইটে এই ঘঠনা ঘটেছে। বিমান আকাশে ওড়ার পর অধিকাংশ যাত্রীর ঘুমের সুযোগ নিয়ে ২৫ বছরের এক তরুণীকে শ্লীলতাহানি করে তার পাশে বসা এক সহযাত্রী। তরুণীর চিৎকার শুনেই ঘুম ভেঙে উঠে অভিযুক্তকে বিমানেই বেদম প্রহার করেন যাত্রীরা।

দুবাই থেকে ওড়ার পর ভোর ৪টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী। ভোর ৫টা বেজে ২০ মিনিটে দিল্লিতে নামার কথা ছিল ফ্লাইটটির। তরুণীর একদিকে বসেছিলেন তার বাবা। অন্য দিকে বসেছিলেন শারিখ খান নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। ভোর ৪টা ৪০ মিনিট নাগাদ অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন ওই তরুণী। সে কারণেই ঘুম ভেঙে যায় তার। উঠেই তিনি বুঝতে পারেন, তার শরীরের উপর শারিক খানের হাত।

তখনই তিনি সরে গিয়ে শারিক খানকে হাত সরিয়ে নিতে বলেন। হাত সরিয়ে নিলেও শারিখ খান পাল্টা গালাগালি শুরু করেন। হাত সরিয়ে নেওয়া বদলে উল্টো শারিখ সেই তরুণীকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। এর পরই চিৎকার করতে শুরু করেন ওই তরুণী। চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় তার বাবার। জেগে ওঠেন অন্যান্য সহযাত্রীরাও। অন্যান্য যাত্রীদের যখন পুরো ঘটনা চিৎকার করে শোনাচ্ছিলেন নির্যাতিতা, তখন পাল্টা গালাগালি করছিলেন অভিযুক্ত পুরুষ সহযাত্রীও।

এর পরই তার সিটের চারিদিকে জড় হতে শুরু করেন অন্যান্য যাত্রীরা। উড়তে থাকা বিমানের মধ্যেই তাকে ঘিরে ধরেন নারী সহযাত্রীরা। অন্তত ১৭ জন নারী সহযাত্রী ঘিরে ধরে মারতে শুরু করেন অভিযুক্তকে। গণপিটুনির হাত থেকে অভিযুক্তকে রক্ষা করতে ঘটনাস্থলের কাছে দৌড়ে যান বিমানকর্মীরা। কিন্তু, কিছুতেই তাদের থামানো যায়নি। মাইকে ঘোষণা করেও তাদের আলাদা করতে পারেননি কর্মীরা।

মারামারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে রেখেছিলেন পাইলট এবং তার সহকর্মীরা। যে কারণে ভোর ৫টা ২০ মিনিটে বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সিআইএসএফ জওয়ানরা ঢুকে পড়েন বিমানটিতে। তারা গিয়ে পিটুনির হাত থেকে সেই অভিযুক্ত পুরুষকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।