‘অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলবো’

SHARE

২ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে দিনটি অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে।

এই দিনটি নিয়ে অনেক শোবিজ তারকার আগ্রহ দেখা গেছে। শুধু দিন-ই নয়, অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে অনেকেই নানা পরিকল্পনাও করেছেন, করছেন- তাদের নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। তেমনি একজন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মুকুট যার মাথায় উঠেছিল, দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিশ্বমঞ্চে। ঐশী বরাবরই বলেছেন তিনি ‘স্পেশাল চাইল্ড’দের নিয়ে কাজ করতে চান। ইতোমধ্যে তার তৎপরতাও চোখে পড়েছে।

ইতোমধ্যে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার প্রয়াস, মোহাম্মদপুর এলাকার কোকাবুরা ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের আম্বিয়া খাতুন মেমোরিয়াল প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।

ঐশী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি চেয়েছি একটা ফাউন্ডেশন করতে। অর্থসহ নানা প্রতিবন্ধকতার বিষয় রয়েছে এতে। হয়তো সময় লাগবে, সেটা আমি করবো। কিন্তু আপাতত যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেসবের সুযোগ সুবিধা কেমন সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। এই যে দেখেন ঢাকার যেসব দেখেছি সেসবের সুবিধা ভালো। কিন্তু ঢাকার বাইরের গুলোতে সুযোগ সুবিধা কম।’

ঐশী আরও বলেন, ‘ভোলার আম্বিয়া খাতুন মেমোরিয়াল প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান একক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন। আমাকে তিনি বলেছেন নিজের জমি বিক্রি করে স্কুলটি চালাচ্ছেন। সেখানে কথা বলেছি শিক্ষকরা বিনা বেতনে শিশুদের পড়াচ্ছেন। আমাদের উচিত সেখানে সহায়তা করা। আমি নিজে পারছি না, কিন্তু যারা সামর্থবান তাদের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি যে আপনারা এগিয়ে আসুন।’

দেশের সুন্দরী বলেন, ‘আমি অটিস্টিক শিশুদের সাথে থাকতে ভালোবাসি, হয়তো আমার সময় হয় না। কিন্তু৭ তাদের নিয়ে আমার যে পরিকল্পনা রয়েছে তা অনেকদূর নিয়ে যাবো। আপাতত সুবিধাবঞ্চিত অটিস্টিক শিশুদের সহায়তার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিগগির ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার কাজে মনোনিবেশ করবো।’

জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী ২৭ আগস্ট ২০০০ সালে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার মাটিভাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। বাবা জনাব আঃ হাই একজন সমাজকর্মী, মা জনাব আফরোজা হোসনে আরা একজন শিক্ষিকা।