নেদারল্যান্ডের ইউট্রেখট শহরে যাত্রীবাহী ট্রামে বন্দুক হামলায় একজন নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলার পেছনে সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। উট্রেক্টের সব মসজিদ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে, পুলিশ পাহারা দিচ্ছে বেশ কিছু মসজিদ। খবর বিবিসির।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১১টার দিকে অক্টোবর ২১ স্কয়ারের কাছে এই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হামলার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সঙ্কটকালীন জরুরি বৈঠকে বসছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ডাচ রেডিও বলছে, হেগে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
অক্টোবর ২১ স্কয়ারের পাশের জংশনে ট্রামে এ হামলার ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে দেশটির জরুরি সার্ভিস ও অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকায় ট্রাম চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, হামলার স্থানে তিনটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে নেদারল্যান্ডস সরকার। পুলিশের মুখপাত্র জুস্ট ল্যানশ্যাগে বলেছেন, একটি ট্রামে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। হামলাকারী গাড়িতে পালিয়েছে।
ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলাচলের জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি বলছে, তিনি একজন নারীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছেন। ঘটনাস্থল থেকে অনেক মানুষকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন তিনি।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ইউট্রেখট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারকে আহতদের জরুরি সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী দেশটির স্থানীয় নিউজ আউটলেট এনইউ.এনএলকে বলেন, ‘একজন বন্দুকধারী আচমকা এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে।’
তবে এডি.এনএল নামের দেশটির আরকেটি সংবাদমাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, চারজন বন্দুকধারী ট্রাম স্টেশনের পাশে এক নারীর ওপর অতর্কিতে বন্দুক হামলা শুরু করে।
উট্রেক্টে ট্রামে গুলি বর্ষনের পর এক বা একাধিক মসজিদ লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়েছে। যেই এলাকায় (ক্যানালেনেইল্যান্ড) গুলি বর্ষণ করা হয়েছে তা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এখন পর্যন্ত একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উট্রেক্টের সব মসজিদ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে, পুলিশ পাহারা দিচ্ছে বেশ কিছু মসজিদ।