জম্মু-কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করলো ভারত

SHARE

ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে জামায়াতে ইসলামি জম্মু-কাশ্মীরকে বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-র আওতায় সংগঠনটির উপর ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং বিচ্ছিন্নতাবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকার জামায়াতে ইসলামি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কথা জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির বিরুদ্ধে বেআইনী ও অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে জামাত-ই-ইসলামি নানাবিধ অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যা দেশ এবং সমাজের পরিপন্থী।

একই সঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পেশ করা বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম বা জঙ্গিবাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল এই সংগঠনের। সমগ্র জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে অনেক হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে এই সংগঠনের সদস্যরা জড়িত থাকে। কেউ কেউ প্রত্যক্ষভাবে থাকলেও অনেকে পরোক্ষভাবে হিংসায় মদদ দেয়। এছাড়াও কাশ্মীরের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকেও নিয়মত সাহায্য করে এই জামায়াতে ইসলামি। দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে ভাঙতে পারে তার।

১৯৪২ সালে তৈরি হওয়া সংগঠনটি ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে এই ভারতের নির্বাচনেও লড়েছে। ১৯৭৫ সালের ইন্দিরা-আবদুল্লা জোটের বিরুদ্ধে ছিল এটি। তখনই প্রথমবার নিষিদ্ধ করা হয় সংগঠনটিকে। ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিলে সেই দলে নাম লেখায় সংগঠনটি। এই নিয়ে তৃতীয়বার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বার জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।