পাকিস্তানে বিমান হামলা ভারতের

SHARE

জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাবে ফের সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালালো ভারত। মিরাজ ২০০০ বিমানের সাহায্যে ক্রমাগত হামলা চালায় ভারতীয় বিমান সেনারা। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। খাইবার পাখতুনখাওয়ার বালাকোটেও বড়়সড় বিস্ফোরণ ঘটায়।

পাকিস্তান সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর ট্যুইট করে দাবি করেছেন, ‘ভারতীয় বিমান সেনারা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল। পালটা জবাব ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি বিমানসেনারা। বাধ্য করা হয়েছে ভারতীয় যুদ্ধ বিমানকে ফিরে যেতে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘মুজাফফরাবাদ-এর দিক থেকে পাকিস্তানে ঢোকে ভারতীয় যুদ্ধবিমান।’

ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় বিমান সেনা সূত্রের খবর সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ১০০০ কেজি বোমা ফেলা হয়েছে। মোট ৬টি যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢোকে।

ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর বালাকোট, চাকোটি, মুজাফফরাবাদে যে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ছিল, তা ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় বিমান সেনারা। জইশ-এর আলফা-৩ কনট্রোল রুমও উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। ওই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এবার নতুন করে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ার স্ট্রাইক চালালো ভারতীয় সেনারা।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় ভারতের সিআরপিএফের কমপক্ষে ৪৪ সেনা নিহত হয়েছেন। ওই হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চরমে উঠেছে।

দু’দেশের মধ্যে এতদিন পর্যন্ত বাকবিতণ্ডা চলছিল। এবার ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।