বাবা বলেছেন আগামী নির্বাচনে ২০০ আসন পাব : এরশাদ

SHARE

ershaddআগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ১৫১ আসনে জয়ের লক্ষ্য থাকলেও দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জানিয়েছেন তার ‘বাবা’ বলেছেন তারা ২০০ আসন পাবেন। ‘বাবা’ বলতে তিনি হয়তো কোনো এক পীর বাবাকে বুঝিয়েছেন, তবে তা স্পষ্ট করেননি।

শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, শুনছি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। এও শোনা যায় সুইস ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অনেকেই বিদেশে নাগরিকত্ব নিয়েছে। কারা এই টাকা পাচার করেছে? কত টাকা পাচার হয়েছে? তাদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন। এসব টাকা ফেরত আনুন। ভর্তুকি দিন। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াবেন না।

জাপা চেয়ারমান বলেন, ১৯৯০ সালের পর দেশে অনেক অসাংবিধানিক কাজ হয়েছে। আমার ভয়ে তৎকালীন সরকার প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসন থেকে বেরিয়ে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। গণতন্ত্রকে ভালোবেসে তারা এ শাসন চালু করেনি। আমার ভয়ে ও আতঙ্কে।

তিনি বলেন, সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ১৯৯০ সালের এইদিনে ৬ ডিসেম্বর  আমি ক্ষমতা ছেড়েছিলাম। সারাদেশের কোথাও আন্দোলন হয়নি। শুধু ঢাকায় কিছু আন্দোলন হয়েছিল। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে বিচারপতি শাহাবুদ্দিনকে নিয়োগ করি। তার কাছে পদত্যাগ করি। শাহাবুদ্দিন আমাকে গ্রেপ্তার করেন। শাহাবুদ্দিন বেঈমান। ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। একইসঙ্গে  বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন। একদিন তার বিচার হবে।

বিএনপি এখন যড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্র করছেন। ঘরে বসে বৈঠক করছেন। লাভ নেই। মানুষ আপনাদের পরিত্যাগ করেছে।

এরশাদের জন্ম না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হতো না দাবি করে তিনি বলেন, এরশাদের জন্ম না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হতো না। মানুষ এখন পরিবর্তন চাইছে। শান্তিতে ঘুমাতে চাইছে। দুই দলের কাছ থেকে চিরতরে মুক্তি চাইছে। মানুষ শুনতে চায় এরশাদ কি কর্মসূচি দিচ্ছে। তাই জাপার আলোচনা সভা আজ মহাসমাবেশে পরিণত হচ্ছে।

দেশে এখন সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বলেন, এখন প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। দুই দল থেকে মানুষ চিরতরে মুক্তি চায়। টেন্ডারবাজি, রাহাজানি, সন্ত্রাস, হত্যা, গুম ও  শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। সন্ত্রাস এখন স্লোগানে পরিণত হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে গুম-খুন থাকবে না। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।

জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এস এম ফয়শল চিশতী, আবুল কাশেম, শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাহিদুর রহমান টেপা, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।