দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রামের কাহিনী শোনালেন মমতা

SHARE

মমতা ব্যানার্জির জীবনের প্রথম দিকে দারিদ্র্য ছিল রোজকার কাহিনী। অনেক ভাইবোনের অভাবী সংসারে বড় হওয়ায়, জীবনে ছিল অনেক লড়াই।

এমন অনেক জানা অজানা লড়াইয়ের শুক্রবার তারকেশ্বরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বলে ফেলেন আবেগতাড়িত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক সরকারি অনুষ্ঠানে হুগলি জেলার তারকেশ্বর ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে বলছিলেন উনি। সেই প্রসঙ্গেই বলেন, আপনাদের কাজ মন দিয়ে, আন্তরিকতার সঙ্গে করি।

‘আর্থিক সাধ্য না থাকলেও বলি কাজটা করে দিতে। কিন্তু সবটা তো একসঙ্গে হয় না। একটু একটু করে তো হচ্ছে,’ বললেন মমতা।

এই সূত্রেই মমতা বলেন, তার জীবনেও অপ্রাপ্তি রয়েছে অনেক। ‘ছোট বেলায় যখন স্কুলে যেতাম, আমার খুব সাইকেলে চড়তে ইচ্ছা করত। কিন্তু আমার বাবা মা আমাকে সাইকেল কিনে দিতে পারেনি। আমার আফসোস আছে।’

‘আমার বাবা যখন বই কিনে দিতে পারেনি, তখন আমি আমার গলার হার বিক্রি করে দিয়ে কলেজের বই কিনে পড়াশুনা করেছি, ‘নিজের লড়াইয়ে কথা বললেন মমতা।

দক্ষিণ কলকাতার যোগমায়া দেবী কলেজে পড়তেন মমতা। সেখানেই ছাত্র আন্দোলনে হাতে খড়ি। তারপর ৮৪ সালে প্রথমবার লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাস্ত করে তার উত্থান।

পরবর্তীতে কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েও ব্যক্তিগত জীবনযাপনে বরাবরই সংযম রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলতে গেলে রাজনীতিতে সেটাই তার সবথেকে বড় অস্ত্র।

মমতার দলের অনেকের বিরুদ্ধে আড়ম্বরের জীবনযাপনের অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি পরা মমতা সাধারণ মানুষের মতোই থেকেছেন।