যুদ্ধের প্রস্ততি হিসেবে নৌ মহড়া শুরু করেছে ইরান

SHARE

পারস্য উপসাগরে হরমুজ প্রণালিতে যুদ্ধের প্রস্ততি হিসেবে তিন দিনের এক নৌ মহড়া শুরু করেছে ইরান। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ মহড়ায় দেশটি প্রথমবারের মতো সাবমেরিন থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হরমুজ প্রণালী থেকে ভারত সাগর পর্যন্ত প্রসারিত এ মহড়ায় দেশটির শতাধিক যুদ্ধ পরিচালনাকারী নৌযান অংশ নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বাড়ছে। আর এই উত্তেজনা যে কোনো সময় যুদ্ধে রুপ নিতে পারে আশঙ্কা করেই এই মহড়া।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে করা ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর দুই দেশের সম্পর্কে এই বিরোধ তৈরি হয়।

ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যডমিরাল হোসেইন খানজাদি এই মহড়া নিয়ে বলেন, ‘যেকোনো দিক থেকে ইরানের ওপর হামলা হলে তার রুখতেই এই মহড়া। অস্ত্রের মহড়াসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য আর সরঞ্জামাদি আকস্মিক যুদ্ধ হলে কতটা প্রস্তুত ও কার্যকারি তা মূল্যায়ন করা হবে মহড়ায়।’

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘এবারের মহড়ায় সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হবে। তাছাড়া ‘সাহান্দ ডেস্ট্রয়ার’ যুদ্ধজাহাজ থেকে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ওড়ানো হবে। তিন দিনের এই মহড়ায় স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘ফতেহ’ সাবমেরিনের পরিক্ষা চালানোর পাশাপাশি তার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রক্রিয়াও দেখা হবে বলেও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।

মার্কিন-তেহরান সম্পর্কের এমন অস্থিরতার মধ্যে পারস্য সাগরের হরমুজ প্রণালীর এ নৌ মহড়ায় সতর্ক নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ার করে ইরান এর আগে জানিয়েছে, তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে এ প্রণালীটি বন্ধ করে দেবে তারা।