আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪টি সমঝোতা স্মারক সই

SHARE

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪টি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার বিকালে আবুধাবীর সেন্ট রেগিজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ।

এর আগে আমিরাতের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

যেবস বিষয়ে সমঝোতা স্মারক হয়েছে সেগুলো হলো-
প্রথম সমঝোতা: গভর্নমেন্ট অব দুবাইয়ের সাথে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি)পোর্ট ও শিল্প পার্ক তৈরিতে চুক্তি। এতে সই করেছেন নৌ পরিবহন সচিব এম আব্দুস সামাদ ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম।

দ্বিতীয় সমঝোতা: বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির সমঝোতা চুক্তি। এতে সই করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির গ্রুপ সিইও সাইফ আল ফালাসি।

তৃতীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে আমিরাতের রাজপরিবারের সদস্য ও বিনিয়োগকারী শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মাখতুম এবং পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদের মধ্যে। এর আওতায় দুই ধাপে ৮০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াটের এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং ১০০ মেগাওয়াটের আরেকটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।

চতুর্থ সমঝোতা চুক্তি হয়েছে মাতারবাড়িতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে। এটাতেও সই করেছেন শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মাখতুম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।

সমঝোতা ও বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট মন্ত্রী ড: আবদুল মোমেন বলেন, আমরা যেটা চেয়েছি তার চেয়েও বেশী হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু অফিসিয়ালি বেশ কয়েকবার ইউএইতে এসেছেন কিন্তু এই ধরনের আগ্রহ এর আগে তাদের মধ্যে লক্ষ করা যায়নি।

বাংলাদেশের বন্ধ ভিসা ও ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসার ব্যাপারে তাদের বলা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো চুক্তি বা সমঝোতা হয়নি। তারা আমাদের দেশেন ম্রমিকদের প্রশংসা করেন। তবে ভিসা খোলার ব্যাপরে তিনি আশাবাদী বলে জানান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, এতদিন কিন্তু আমরা চাচ্ছিলাম তাদের কাছে এগিয়ে কিছু করার। তারা এখন এগিয়ে আসছে মনে হচ্ছে। যে কয়টা চুক্তি হয়েছে তার সবগুলোতেই তাদের দিক থেকে এসেছে। তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহেমদ ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ।