ফিফা এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে জাতিবিদ্বেষী রাজনীতি

SHARE

চলতি বছরের জানুয়ারির ঘটনা; সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে কাতারের লোগে লাগানো জার্সি গায়ে দিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ব্রিটিশ ফুটবলের এক ভক্তকে আটক করে আবুধাবি পুলিশ।

কাতারের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের অভিযোগে আলি ইসা আহমেদ নামের ওই ব্যক্তিকে বড় অঙ্কের জরিমানা করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অথচ এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পরেও তিনি তেমন কাউকে পাশে পাননি।

কারণ, ২০১৭ সালের জুনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মিসর, বাহরাইন এবং আরম আমিরাত কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ওই চার দেশ থেকে কাতারের নাগরিকদেরও বের করে দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হয়নি।

এমনকি কাতারের সীমানার বাইরে সে দেশের নাগরিকদের উট অনাহারে, রোগে ভুগে মারা গেছে; তার পরেও সহানুভূতি জাগেনি ওই চার রাষ্ট্রের। অথচ, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর থেকেই বারবার কথা উঠছিল বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ নিয়ে। ওই বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসেবে স্টেডিয়ামও নির্মাণ করছে কাতার।

তবে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ার খবরে যারপরনাই বিরোধিতা করে যাচ্ছে প্রতিবেশি দেশগুলো। আবুধাবি বরাবরই চায়, ২০২২ বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ সেখানে হোক। এজন্য ফিফা প্রধানের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর গুঞ্জন রয়েছে। আমিরাতের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে, তারা বিশ্বকাপ ফুটবলের কিছু ম্যাচ পেতে আগ্রহী। ফিফা প্রধানের পক্ষ থেকেও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, কাতার চাইলে সে ব্যবস্থা করা হবে।

সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাতার বিরোধী যে ধরনের ষড়যন্ত্র করছে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো, ফিফা প্রধানও তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।