গাড়ি রিকুইজিশন এবং ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার বন্ধ করা হয়েছে’

SHARE

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, ‘গাড়ি রিকুইজিশন এবং ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার বন্ধ করা হয়েছে।’

রবিবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ক্র‌্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক দুলাল হোসেন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ রায়, মোসলেহ উদ্দিন, শেখ নাজমুল আলম এবং ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, গাড়ি রিকুইজিশন, ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার এবং বিচারাধীন মামলায় আসামি করার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তাই ওইসব বন্ধ করা হয়েছে। ভুয়া মামলায় কেউ আসামি হলে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।

ভুয়া মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৬ মাসে ডিএমপিতে কোনো ভুয়া মামলা হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসময় সন্ত্রাস, মাদক ও জনহয়রানি বন্ধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের সুসম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটলেও এখন তা শুধুই অতীত। এখন সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার। এখন কর্মঠ ও শিক্ষিত তরুণরা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালে কমিশনার হওয়ার পর দেখি সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। অনেক সময় কমিশনারের অফিসের সামনে, ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সামনে সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু এখন উভয়পক্ষের মনোভাব পরিবর্তন হওয়ায় এখন আর অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে না।

ডিএমপি কমিশনার পুলিশ সদস্যদের বল প্রয়োগের চেষ্টা এবং খবরদারির মনোভাব ত্যাগ করার ওপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, হাতে ক্ষমতা আছে বলেই যাকে তাকে ধরে চালান দেয়া যাবে না। এ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।

আগামী দিনে দেশকে বোমা-সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে ক্র‌্যাবের সহযোগিতা কামনা করে ডিএমপি প্রধান বলেন, আমরা এ দেশকে আরেকটি আফগানিস্তান বানাতে চাই না। বাংলাদেশকে অমিত সম্ভাবনার দেশ। এ দেশের পাসপোর্ট হবে একদিন সবচেয়ে দামি পাসপোর্ট হিসেবে গণ্য হবে।