বাসায় নেওয়া হয়েছে অহনাকে

SHARE

হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়েছে অহনাকে। অহনার খালাতো বোন লিজা ইয়াসমিন মিতু খবরটি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

অহনার অবস্থার ক্রমশ উন্নতি ঘটছে জানিয়ে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, দুইদিন অ্যাপোলোতে চিকিৎসার পর অহনা এখন কিছুটা সুস্থ। নানা পরীক্ষা নীরিক্ষার পর শরীরে কোন হাড় ভাঙার আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু কোমরের টিস্যুগুলোর মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। দেড় মাস পুর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন তারা।

মিতু বলেন, এই সময়ের মধ্যে কোমড়ের ওই টিস্যুর ক্ষতি সেড়ে না উঠলে অহনাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।

দুর্ঘটনায় অহনার অভিনীত নাটকের শুটিং থমকে রয়েছে। চিকিৎসা বাবদও বেশ টাকা খরচ হয়েছে। সেই সঙ্গে অহনার গাড়িতে ধাক্কা দেয়ায় ক্ষতি হয়েছে গাড়িরও। তাই অহনার পক্ষ থেকে মিতু জরিমানার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আজ পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি অহনা শুটিং শেষ করে তার খালাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরায় বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। উত্তরার কাবাব ফ্যাক্টরি থেকে কিছুটা সামনে সাত নম্বর সেক্টরের পূর্ব মাথায় দ্রুত গতির একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দিয়ে অহনার প্রাইভেটকারের ক্ষতি করে। অহনা তার গাড়ির ক্ষতি হয়েছে দাবি করে ট্রাকচালককে নামতে বললে চালক আবারো অহনার গাড়িকে ধাক্কা দেন বলে জানান অহনা।

পরে গাড়ি থেকে নেমে অহনা প্রতিবাদ করে ট্রাকচালককে নামতে বললে তিনি অহনার সঙ্গে তর্কাতর্কি করেন। এ সময় অহনা নিজেই ট্রাকের দরজা দিয়ে উঠে চালককে নামাতে যান।কিন্তু চালক কথা না শুনে অহনাকে দরজায় ঝুলন্ত অবস্থায় ট্রাক ছেড়ে দেন। ট্রাকটি অহনাকে ঝুলিয়ে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে পৌঁছলে স্থানীয়দের বাধায় ট্রাকচালক সজোরে ব্রেক করলে ছিটকে পড়ে আহত হন অভিনেত্রী অহনা।

এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন অহনার খালাতো বোন লিজা ইয়াসমীন মিতু। মামলায় গ্রেফতার ট্রাকচালক সুমন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গুরুতর আহত হওয়ার পর রাজধানীর উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী অহনা। কিন্তু অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাওযায় গত সোমবার অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে।