আইফোনে আগ্রহ কমেছে ক্রেতাদের

SHARE

অ্যাপলের আইফোন থেকে নজর সরাচ্ছেন ক্রেতারা। তাই গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বাজারে আসা আইফোনের নতুন তিনটি মডেল খুব বেশি সাড়া জাগাতে পারেনি। অ্যাপল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি বুঝতে পেরে আগেভাগেই তাদের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে।

ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে আইফোন বিক্রি থেকে আসা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর বিষয়টি বাজারে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এর কারণ অবশ্য সহজে অনুমান করা যায়। আইফোনের বিক্রির গতি কম হওয়া এর অন্যতম কারণ। এ খবর চাউর হতেই ঊর্ধ্বগতিতে ছুটে চলা অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমে যায়। গত ৩ জানুয়ারি দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে দেখা যায়। অ্যাপলের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দামেও বড় ধাক্কা লাগে। অবশ্য গত তিন মাসে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন বিক্রিও কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৭ সালে যে পরিমাণ স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, ২০১৮ সালে তার চেয়ে কম বিক্রি হয়েছে। ঘটনাটি বছরভিত্তিক স্মার্টফোন খাতের হিসেবে প্রথমবার ঘটল। বিশ্বের ৫৫০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে প্রায় ৪০০ কোটি মানুষের কাছে অন্তত একটি ফোন আছে। এই স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি মানুষ তথ্য ও সেবা পাচ্ছে। মোবাইল ফোনের কারণে বাজারে দক্ষতা বাড়ছে, উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

ইকোনমিস্ট বলছে, অনেক ফোন তিন বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করছেন মানুষ। অনেকে পুরনো ফোনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাই স্মার্টফোনের হালনাগাদের সময়টা বেশি হলেও প্রকৃতপক্ষে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার কিন্তু বাড়ছে। এর কারণ, অনেকেই স্মার্টফোনের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন। এখন স্মার্টফোনের হালনাগাদ যত দেরিতে হয়, ততই অনেকের জন্য স্বস্তির।