বয়স মাত্র ৪ বছর ৭ মাস। নাম রাফিয়া আক্তার। এই বয়সে বাড়ির আঙ্গিনা বা মাঠে খেলাধুলায় মেতে ওঠার কথা; আধো আধো বোলে কথা বলে বাড়িঘর মাতিয়ে রাখার কথা তার। কিন্তু এই বয়সেই ফুটফুটে শিশুটির দেহে বাসা বেঁধেছে ঘাতকব্যাধি ক্যান্সার! শরীরে যন্ত্রণা নিয়ে এখন সে শুয়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়। নিজের রোগ সম্পর্কে তার বোঝার বয়সটাও তো হয়নি!
রাফিয়া আক্তারের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হুলাশুগঞ্জের করিমপুর গ্রামে। তার বাবা রফিকুল ইসলাম একজন দিনমজুর। ট্রাক্টর চালিয়ে জীবন নির্বাহ করা রফিকুল এখন সর্বস্বান্ত। ছোট্ট মেয়ের চিকিৎসা করাতে ধার-কর্জ আর বসতভিটা বিক্রি করে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এখন তার খরচ করার আর কিছুই নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের ডি-ব্লকের ৩০৭ নম্বর ইউনিটের ৪ নম্বর বেডে শুয়ে আছে রাফিয়া। গত বছরের ১১ মে তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই চিকিৎসা করাতে এখন অন্তত ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এরপর থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
রাফিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এবং অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে শিশু রাফিয়ার। গত ৮ মাসে তাকে ৩টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। এখন তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান চিকিৎসার ব্যয় বহন করা রোগীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই শুভাকাঙ্ক্ষী ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন রফিকুল।
যোগাযোগ ও সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা
মুঠোফোন ও বিকাশ নম্বর : ০১৭৫১-৪৪৬০২৭
ব্যাংক হিসাব : ৭১০১১২১০০০০১৮৮১, হিসাবধারীর নাম মো. রফিকুল ইসলাম, শঠিবাড়ী শাখা, মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড।