মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
আজ রবিবার সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি। এর পর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে পরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দেন শেখ হাসিনা।
বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান ও কূটনীতিকরা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এর পর।
ভিআইপিদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেয়া হয় সবার জন্য; পতাকা আর ফুল হাতে জনতার ঢল নামে সৌধ প্রাঙ্গণে। ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে শহীদবেদী।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শুক্রবার গভীর রাত থেকেই স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রাম শুরুর পর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন যুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী।
বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তির দিনটি পালিত হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে যার সূচনা হয়।
জাতীয় নির্বাচনের কারণে এ বছর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলা সদরে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে।