প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার, অভিনেতা, লেখক ও গীতিকার আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘বরেণ্য এ শিল্পীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। নিজ কর্মের মাধ্যমে তিনি মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
আজ শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে আমজাদ হোসেন ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুপালি পর্দার মায়া কাটিয়ে ছায়া হয়ে গেছেন অচেনা পর্দায়।
ব্রেন স্ট্রোক করে গত ১৮ নভেম্বর সকালে তিনি তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকা দেন। ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নেয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানে প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে দেশবাসীকে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেলেন চিরতরে।
আমজাদ হোসেন নির্মিত ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
আমজাদ হোসেন ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন।