খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার স্বনির্ভর এলাকায় দুপক্ষের গোলাগুলিতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিতে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সবাই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ- প্রসিত খিসা) সদস্য বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাইকেল চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এম এন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছেন।
এ ব্যাপারে এখনো জেএসএস-এম এন লারমার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা পলাশ চাকমা ও এলটন চাকমা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন টিটু সকালে বলেন, এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে।
লাশগুলো উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, এ ঘটনার পর থেকে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে এ বছরের ৩ মে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে (৫২) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলা পরিষদের পাশের বাসা থেকে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে দুই দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে হত্যা করে।
শক্তিমান চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) নামে যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে তার অন্যতম উদ্যোক্তা ও শীর্ষ নেতা ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার দল এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছিল। যদিও দলটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
এর পরদিন ৪ মে শক্তিমান চাকমার অন্তোষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) থেকে বেরিয়ে গঠন করা ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের আহ্বায়ক তপনজ্যোতি চাকমা বর্মা, সজীব চাকমা, সেতুলাল চাকমাসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।