শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছে জাতি। বুধবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সালাম। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
যাকে ঘিরে প্রাণ পেয়েছিলো সাত কোটি মুটে মজুর আর শোষিত বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন, এখানে শায়িত সেই সূর্য সন্তান। বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধী কমপ্লেক্সে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার সামাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সালাম জানানো হয়। পরে পারিবারিক স্মৃতি বিজরিত বঙ্গবন্ধুর গ্রামের বাড়িতে ছোটবোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন সরকারপ্রধান। দোয়ায় ১৫ আগস্টে নিহত পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাতের প্রতি কামনা করা হয়।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম বলেন, সরাসরি যুক্ত না থাকলেও বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলো দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্র। আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে বিশেষ কমিশন গঠনের দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন গঠন করতে হবে। যে কমিশন ওইদিনের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়কদের তুলে ধরবে। প্রকাশ্যে হয়তো ফারুক, রসি, ডালিম, জিয়া, মোশতাক এসেছে কিন্তু যারা প্রকশ্যে আসেনি, কিন্তু পেছন থেকে এত বড় একটা ষড়যন্ত্রকে সমর্থন দিয়েছে, তাদের তুলে ধরবে। তারা তো শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, বাঙালি জাতীয়তাবদকে হত্যা করে পাকিস্তানী ধ্যনি-ধারণার একটি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলো। এতে আর কারা জড়িত ছিলো, ভবিষ্যত বংশধরদের এটা জানা উচিৎ বলে আমি মনে করি।’